New Cafe Jamuna Restaurant
It is a combination of Bengali, Chinese,Thai,Roasted Meat(Kabab) and Continental food which is in under one roof.
<নিউ ক্যাফে যমুনা রেস্টুরেন্টে স্বাগতম>
মানসম্মত ও মুখরোচক খাবারের নিশ্চয়তা নিয়ে ঢাকার ৭১ মতিঝিলে অবস্থিত নিউ ক্যাফে যমুনা রেস্টুরেন্ট। গ্রাহক আকৃষ্ট করার জন্য তাদের রয়েছে নানা সুযোগ-সুবিধা।
ভোজনরসিক বাঙালি হিসেবে আমাদের সুনাম রয়েছে সব মহলে। খাদ্যের সঙ্গে সখ্য আর নানা পদের খাবার পছন্দের তালিকায় থাকবে না, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এবার সেটা দেশি কিংবা বিদেশি খাবার হোক। কারণ খেতেই যখন হবে, খাবারের সঙ্গে তখন বন্ধুতা তৈরি না করে উপায় নেই। সুস্বাদু খাবারের সঙ্গে যদি নিরিবিলি পরিচ্ছন্ন পরিবেশ আর সুন্দর পরিবেশন যুক্ত হয়, তবে তো কথাই নেই, তখন সবাই খেতে চাইবে।
ভোজনরসিকদের সুস্বাদু খাবার, মনোরম পরিবেশন এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশের সেই চাহিদা মেটাবে রাজধানীর ৭১ মতিঝিল এলাকায় গড়ে ওঠা 'নিউ ক্যাফে যমুনা রেস্টুরেন্ট যা মূলত বাংলা-চাইনিজ-থাই-বাহারী কাবাবে ভরপুর'। এখানে ভোজনরসিকদের খাবার খেয়েই তার দায়িত্ব শেষ হয় না, বরং তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে ফের আসার ইচ্ছা পোষণ করেন।
নিউ ক্যাফে যমুনা রেস্টুরেন্টে নানা ধরনের দেশি খাবারের পাশাপাশি চায়নিজ ,থাই এবং ইন্ডিয়ান খাবারের সমাহার রয়েছে। ডুপলেক্স বিশিষ্ট ছিমছাম পরিবেশে নতুন ব্যবস্থাপনায় চালু হয়েছে ২০১৩ এর ১ অক্টোবর। মতিঝিল দৈনিক বাংলা থেকে শাপলা চত্বর পর্যন্ত তথা মতিঝিল এলাকায় সব মানুষের উপযোগী ভালো কোনো খাওয়ার জায়গা ছিল না এর আগে। দুপুর, সন্ধ্যা বা রাতে বাইরে খাবার খেতে হলে সবাইকে ছুটতে হতো অনেক দুরে। খাবারের ভালো জায়গার অভাব এবং সব আয়ের মানুষের কথা বিবেচনায় রেখেই মূলত নিউ ক্যাফে যমুনা রেস্টুরেন্টের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে মতিঝিল এবং এর আশপাশের এলাকার মানুষদের 'কোথায় খাব?' এই ভাবনার পছন্দের প্রথম নামটি এখন নিউ ক্যাফে যমুনা রেস্টুরেন্ট।
নিউ ক্যাফে যমুনা রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী আওলাদ হোসেন পাটোয়ারী ও পরিচালক লায়ন হায়দার আলী হিটলু বলেন, 'নিউ ক্যাফে যমুনা রেস্টুরেন্টে খাবারের মান এবং দাম দুটোই সবার নাগালের মধ্যে রাখার চেষ্টা করে থাকি আমরা। হাতের কাছে খাবারের ভালো নিশ্চয়তা পেলে দূরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আমাদের সেবার মানও অনেক ভালো। কারণ একবার যিনি নিউ ক্যাফে যমুনা রেস্টুরেন্টে আসেন, তিনি বারবারই আসবেন খাওয়ার প্রয়োজনে। আশপাশে বিভিন্ন করপোরেট অফিস থাকায় আমাদের অধিকাংশ গ্রাহকই এখানে আসেন। তারা ভালো সেবা পাচ্ছেন বলেই নিয়মিত খাবার খেতে আসেন। পাশাপাশি স্থানীয় সাধারণ আয়ের মানুষ তো রয়েছেনই। মানসম্মত ভালো খাবার সঠিক দামে সরবরাহ করা হচ্ছে বলেই নিউ ক্যাফে যমুনা রেস্টুরেন্ট বর্তমানে সবার পছন্দের জায়গা হয়ে উঠছে।'
সকাল ,দুপুর এবং রাতের খাবারের মেন্যুতে নিউ ক্যাফে যমুনা রেস্টুরেন্টে রয়েছে দেশি,থাই, চায়নিজ,বাহারী কাবাব,নান খাবারের আয়োজন। কাবাবের আইটেমের মধ্যে রয়েছে চিকেন এরাবিয়ান কাবাব,মাটন এরাবিয়ান কাবাব,চিকেন রেশমি কাবাব এবং চিকেন টিক্কা কাবাব,গরুর সিক কাবাব,খাসী ও মুরগীর বডি কাবাব,সুস্বাদু মুরগীর গ্রীল,এছাড়া আছে ফিস বারবিকিউ। নিউ ক্যাফে যমুনা রেস্টুরেন্টে স্পেশাল আইটেমের মধ্যে রয়েছে হায়দরাবাদি বিরিয়ানি,বাসমতি কাচ্চি। এ ছাড়া রয়েছে নানা ধরনের সালাদ, স্যুপ, অ্যাপেটাইজার, নুডলস এবং পুডিং। রুচি-মান-টাটকা-সুস্বাদু হচ্ছে নিউ ক্যাফে যমুনা রেস্টুরেন্টেঅন্যতম সেরা বৈশিষ্ট্য। নিউ ক্যাফে যমুনা রেস্টুরেন্টের চা যে কারও তৃপ্তিতে যোগ করবে বাড়তি মাত্রা এবং দেখতেও লোভনীয়। এ ছাড়া সবার কথা বিবেচনায় রেখে তৈরি করা হয় দেশি এবং চায়নিজ খাবারের পাচটি,চারটি এবং তিনটি সেট মেন্যু। বিফ এবং চিকেন খিচুড়ির আইটেমও সবার ভালো লাগার মতো।
মতিঝিল ও ঢাকার আশে-পাশের বেশির ভাগ করপোরেট প্রতিষ্ঠানের লোকজন নিউ ক্যাফে যমুনা রেস্টুরেন্টকে বেছে নেন খাবারের জায়গা হিসেবে। এখানে খেতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা নিয়মিতই আসে,এখানে ভালো খাবারের জায়গা নেই নিউ ক্যাফে যমুনা রেস্টুরেন্ট ছাড়া। এ ছাড়া স্বাদ, মান এবং দাম সবকিছুই ভালো। বিকেলে বা সন্ধ্যার পরিবেশে খাওয়ার পাশাপাশি এখানে বসে বন্ধু-বান্ধবরা জমিয়ে দিতে পারেন মজার আড্ডা।
উপর-নীচ মিলে ১৪০-১৫০ জন অনায়াসে এখানে বসে খাবার খেতে পারেন। ছোট পার্টির জন্য নিউ ক্যাফে যমুনা রেস্টুরেন্টে রয়েছে পার্টি বুকিংয়ের ব্যবস্থা। তবে পার্টি চলাকালে যেন নিয়মিত গ্রাহকদের অসুবিধা না হয়, সে ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে কারণ ডুপলেক্স রেস্টুরেন্টের ২য় তলায় এ ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া হোম ডেলিভারির সুব্যবস্থাও আছে। পার্সেল ডেলিভারি নিতে চাইলে তার সুযোগও রয়েছে।
নিউ ক্যাফে যমুনা রেস্টুরেন্টকে নতুন করে সাজানোর চিন্তায় এ রেস্টুরেন্টকে নিয়ে রয়েছে বেশ কিছু প্ল্যান।
'নিউ ক্যাফে যমুনা রেস্টুরেন্ট' ব্যস্ত এই শহরের মধ্যখানে অবস্থিত হলেও রসনা বিলাসের ক্ষেত্রে এ নামটি চাইলেই আপনি মনে করতে পারেন। খেয়ে মজা পাওয়ার নিশ্চয়তার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের আয়োজনে নিউ ক্যাফে যমুনা রেস্টুরেন্ট ইতিমধ্যে তার গ্রাহকদের কাছে পরিচিত। কাজে, আড্ডায় কিংবা প্রিয় মানুষটির সঙ্গে সময় কাটানো এবং খাওয়া_ এসবই সম্ভব নিউ ক্যাফে যমুনা রেস্টুরেন্টে। তাই বলছি, আপনি যদি খেতে পছন্দ করেন বা না করেন, যাই হোক না কেন, আপনাকে নিউ ক্যাফে যমুনা রেস্টুরেন্টে স্বাগতম।